বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫

হত্যার পর ভাতিজার মরদেহ গুমের অভিযোগ, আটক চাচা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম

হত্যার পর ভাতিজার মরদেহ গুমের অভিযোগ, আটক চাচা

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্কুলছাত্র ভাতিজাকে ডাব পাড়তে ডেকে নিয়ে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের এক চাচাকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আব্দুল হামিদ রায়হান (১৭) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হুগলি গ্রামের হাজী বাড়ির কৃষক মো. আলমগীরের ছেলে। সে স্থানীয় খলিফার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই গ্রামের নাপিত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে হামিদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে মো. মারুফকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। মারুফ সম্পর্কে রায়হানের চাচা হন।

নিহতের স্বজনেরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার রাতে ঘর থেকে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় রায়হান। পরদিন মোবাইল ফোনে রায়হানের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

ফোনে কললিস্টের সূত্র ধরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বুধবার একই বাড়ির মো. মারুফকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রায়হানকে হত্যা করে মরদেহের গুমের কথা স্বীকার করেন মারুফ।

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই গ্রামের নাপিত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের বড় ভাই হারুনুর রশিদ বলেন, ‘মারুফের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তিনি কেন আমার ভাইকে হত্যা করেছেন বিষয়টি আমরা জানি না।’

সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শেখ কামাল বলেন, রায়হান বাড়ি থেকে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে মারুফ ডাব পাড়ার কথা বলে তাঁকে বাড়ির পাশের নাপিত বাড়ির বাগানে নিয়ে যান।

সেখানে তাকে হত্যা করে মরদেহ ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এসআই মো. শেখ কামাল আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!