যশোরে উত্ত্যক্ত সহ্য করতে না পেয়ে বিয়াই সিরাজুল ইসলামের চোখ তুলে ফেলেছে তার বিয়ান হাসি বেগম। শনিবার (২৯ মার্চ) সদর উপজেলার বাহাদুর জেস গার্ডেন পার্কের পেছনের এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
সিরাজুল ইসলাম ওরফে কুটিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসক খুলনায় রেফার্ড করেছেন।
তিনি শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত হাসি বেগমকে আটক করেছে।
আহত সিরাজুল জানিয়েছেন, পূর্বশত্রুতার জেরে হাসি বেগম (ছেলের শাশুড়ি) হাসির মেয়ে মনিকা ও জামাই মনিরুল শাবল দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।
এতে তার একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শনিবার দুপুরে তিনি তাদের বাড়ি বেড়াতে গেলে আকস্মিকভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয়।
পরে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুপুরে সিরাজুল বিয়াইন হাসির বাড়িতে যান। এরপর হঠাৎ মারামারি ও কান্নাকাটির শব্দ পাওয়া যায়। পরে তারা দুই তলায় গিয়ে মারামারির দৃশ্য দেখতে পান। সিরাজুলের এক চোখ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
এছাড়া হাসিরও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হাসি অভিযোগ স্বীকার করে পুলিশের কাছে ধরা দেন।
এদিকে,হাসি বেগম দাবি করেছেন, তার বিয়াই সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাবসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি ছিলেন না।
শনিবার দুপুরে সিরাজুল তাকে উত্ত্যক্ত করে। এসময় প্রতিবাদ করলে সিরাজুল তাকে জখম করে। নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি বিয়াই সিরাজুলের চোখ তুলে দিয়েছেন।
জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, আহত সিরাজুলের অবস্থা গুরুতর। তার চোখের অবস্থা বেশ খারাপ। ফলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্র রেফার্ড করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, ঘটনাটি জানার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
সিরাজুলের চোখ তুলে দেয়ার অভিযোগে পুলিশ হাসি বেগমকে আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।