ঢাকা বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫

জিলাপির টাকা দেওয়া-নেওয়ার হিসাব নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে জিলাপির বিতরণের টাকা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ এঘটনায় নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের কয়সর আলী সিকদার বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মো. রাসেল (৩২), আব্দুর রহমান (৪০), মো. রাজ্জাক (৩৩), মোসা. ফাতিমা (২৮) ও জাহিদুল ইসলাম (৩৮)।

তারা সবাই বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে তিনজনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, নামাজ শেষে মুসল্লিদের মধ্যে জিলাপি বিতরণের পর টাকা দেওয়া-নেওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান ও জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নাম নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জেরে দুলাল সিকদার, আলামিন সিকদার ও ফিরোজ সিকদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা গলাচিপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।

আব্দুর রহমান বলেন, গত রাতে আলোচনা হয়েছে ঈদের জন্য ১৫ কেজি জিলাপি কেনা হয়। কিন্তু আজ নামাজ শেষে জিলাপির টাকার হিসাব করা হবে বলে আমাদের বসতে বলা হয়। মুসল্লিরা চলে যাওয়ার পরই তারা অতর্কিত হামলা চালায়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিবাদীপক্ষ পূর্বশত্রুতার জেরে ইচ্ছাকৃতভাবে এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নাম নিয়ে আগে থেকেই দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল।

গলাচিপা থানার ওসি ঝিলন হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।