যশোরে ঈদের খুশিতে পটকাবাজি ফোটানো নিয়ে দুই পক্ষের গোলযোগে অলিদ হোসেন (২২) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার পাগলাদহ এলাকায় ঘটনা ঘটেছে৷
নিহত অলিদ পাশের নওদাগ্রামের হৃদয় হোসেনের ছেলে। এ সময় আরও ৪ যুবক ছুরিকাহত হয়।
তারা হলেন- নওদাগ্রামের লুৎফর মোল্লার ছেলে রিপন হোসেন (৪০), রিপনের ছেলে আপন (১৭), আবু সাঈদের ছেলে শামীম হোসেন (১৮) ও বহর আলীর ছেলে আরিফ ওরফে রাশিদুল (১৭)। আহতদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসক রাশিদুলকে খুলনায় রেফার্ড করেছেন।
আহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঘটনার রাতে আপন, রাশিদুল ও শামীম বাজি ফোটাচ্ছিল। এ সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিল অলিদ, পিয়াল, আরিফ ও মেহেদী। তখন তারা দাবি করে তাদের শরীরে বাজি লেগেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলযোগ শুরু হয়। অলিদ ও তার পক্ষীয়রা আপন, রাশেদুল ও শামীমকে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে।
খবর পেয়ে আপনের বাবা রিপন আলী সেখানে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এ সময় অলিদ প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জখম হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিছু সময় পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় অলিদ হোসেনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, ভর্তির সময় অলিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিলো। ওয়ার্ডে আনার কিছু সময় পর তার মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে রাশিদুলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা চলছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, বাজি ফোটানো নিয়ে গোলযোগের সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে অলিদ নামে এক যুবক হয়েছে। এ সময় আরও ৪ জন ছুরিকাহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।