রাজশাহীর বাঘায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাণিজ্যের অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (৩০ মার্চ) বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হামলায় পাঁচটি মোটরসাইকেল ও একটি ভ্যান ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে আরও চারটি দোকান।
হামলায় বাউসা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজিব আহম্মেদ ও ইউনিয়নের ১ নং (দিঘা) ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি সৌরভ আহমেদ আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রাজিবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শিবিরনেতাকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট ও মোটরসাইকেলগুলো জামায়াতের সমর্থকদের বলে দাবি দলটির নেতাকর্মীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মার্চ উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের সুবিধাভোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে জামায়াতের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়। একই সময়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনার জের ধরে গত রোববার বিকেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাউসা পূর্বপাড়া পলান সরকার পাঠাগারের পাশে বাউসা ইউনিয়নের দিঘা ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি সৌরভ আহমেদের (২০) ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে । সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে ওইদিন বাউসা বাজারে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজিব আহম্মেদ মন্ডলের (২৬) ওপর পাল্টা হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে শিবিরকর্মীরা। রাজিব আহম্মেদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পরে বিএনপির লোকজন বাউসা বাজারে ৫টি মোটরসাইকেল ও একটি ভ্যান গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
বাউসা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মজিবর রহমান বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে জামায়াতের লোকজন মানববন্ধন করলে বিএনপির নেতারা জামায়েতে ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েক জন আহত হয়।
বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ‘জামায়াতের মাওলানা মজিবর রহমান নির্দেশে শিবিরের ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী ইফতার পরে বাউসা বাজারের পূর্ব পাশে মকছেদের চায়ের দোকান হামলা চালিয়েছে। তখন রাজিব আহম্মেদ মন্ডলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এতে রাজিবের মাথায় ২০ টি সেলাইসহ শরীরে ৫০-৬০ সেলাই দেওয়া হয়েছে।
বাঘা থানার ওসি আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, তিনটি ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে । অন্য পক্ষ আসেনি। এ ব্যাপারে কোনো আসামিও গ্রেপ্তার হয়নি।