ঈদের তৃতীয় দিনেও চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে দর্শনার্থীদেও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ থাকায় এবারের ঈদে রেকর্ড সংখ্যক ভ্রমণ প্রেমী মানুষ শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করছেন। শ্রীমঙ্গলের সবুজের সমারোহে সজ্জিত সারি সারি চা-বাগানের নয়নাভিরাম প্রকৃতি দেশের পর্যটকদের সব সময়ই আকর্ষণ করে।
চা বাগানের পাশাপাশি দার্জিলিং টিলা, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই), টি মিউজিয়াম, বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, হাইল হাওর, মৎস্য অভয়াশ্রম বাইক্কা বিল, নীলকণ্ঠ সাত রঙের চা কেবিন, চা-কন্যা ভাস্কর্য, বধ্যভূমি-৭১, লাল পাহাড়, শঙ্কর টিলা, গরম টিলা, ভাড়াউড়া লেক, ব্রিটিশদের সমাধিস্থল ডিনস্টন ওয়ার সিমেট্রি, হরিণছড়া গলফ মাঠ, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী পল্লিগুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
শ্রীমঙ্গলের পার্শ্ববর্তী কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, নুরজাহান চা বাগান পর্যটকদের বিমোহিত করে।
ঈদ উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি কাটাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করার জন্য পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে অনেকেই ছুটে এসেছেন সবুজে ঘেরা শ্রীমঙ্গলে।
এবারের ঈদে শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধিও বিষয়টি মাথায় রেখে এ খাত সংশ্লিষ্টদের আগাম প্রস্তুতি নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। পর্যটকদের থাকার জন্য এখানে রয়েছে ১০০ টির কাছাকাছি হোটেল রিসোর্ট। আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলার বেশিরভাগ হোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস বুকিং হওয়ার কথা জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার কর্মকর্তারা।
রাধানগর পর্যটন কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল হক বলেন, রমজান মাসে প্রায় পুরোটা সময়ই ফাঁকা ছিলো রিসোর্টগুলো। ঈদের টানা ছুটিতে এবার ভালো ব্যবসা হবে।
শ্রীমঙ্গল ট্যুর অপারেটর অ্যান্ড ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাসেল আলম বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা গাইডরা প্রচুর বুকিং পেয়েছি। এরমধ্যে বিদেশি পর্যটকরাও রয়েছেন। দেশের অন্যান্য জায়গায় পর্যটকরা ছিনতাই বা বিভিন্ন কারণে হয়রানির শিকার হলেও শ্রীমঙ্গল আসা পর্যটকরা শতভাগ নিরাপদ। এজন্য পর্যটকদের কাছে শ্রীমঙ্গল নিরাপদ জায়গা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোন এর পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, এবার ঈদের ছুটি বেশ লম্বা থাকায় প্রচুর পর্যটক সমাগম হয়েছে। এরমধ্যেই আমরা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেছি। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে নজরদারি রাখছি। পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে ঘোরাফের করে সুন্দরভাবেই বাড়ি ফিরতে পারে আমরা সেভাবেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি।
-20250404033644.webp)
-20250328092254.webp)
আপনার মতামত লিখুন :