ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

মাজেদা বেগম হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ২

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নেত্রকোনা পৌরশহরের আরামবাগ এলাকায় মোছা. মাজেদা বেগম (৫২) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, একই সঙ্গে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও নগদ সাত হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

মাজেদা বেগম একই এলাকার মৃত আরজান আলীর স্ত্রী। স্বামী ও ছেলে সন্তান না থাকায় তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করতেন। তার মেয়ে ফরিয়া সুলতানা ইতি স্বামীর কর্মস্থল ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকায় বসবাস করেন।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা নেত্রকোনা কলমাকান্দা উপজেলার হাসানোয়াগাঁও গ্রামের মো. শহিদের ছেলে আরিয়ান আহমেদ রাজীব (২২)। অপরজন হলো নেত্রকোনা পৌরশহরের ছোট বাজার এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সাউন বিন তোহা আব্দুল্লাহ (১৫)।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১১টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ। 

পুলিশ সুপার জানান, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ভুক্তভোগীর লুট হওয়া ‘স্যামসাং এম-১৪’ ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তী সময়ে, বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) নেত্রকোনা পৌরশহরের ছোট বাজার এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ভুক্তভোগীর লুট হওয়া টাকার মধ্যে সাত হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, মাজেদা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নগদ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও তার ব্যবহৃত এক জোড়া কানের দুল লুট করে তারা। পুলিশ জানায়, মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও বাকি লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গত ২০ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে মাজেদা বেগমকে তার বাড়িতে একা পেয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর দুর্বৃত্তরা নগদ ১৫ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও তার কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এই ঘটনায় ২৫ মার্চ থানায় পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ক্লুলেস এই হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করতে মাত্র দুই সপ্তাহ সময় লাগে পুলিশের।