নানা আয়োজনে পাবনায় বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা পাবনার মেয়ে সুচিত্রা সেনের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে পাবনা শহরের হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে জন্মদিন পালন করেন সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ।
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ রামদুলাল ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নরেশ মধু, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলু রহমান,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফরিদুল ইসলাম খোকন, পাবনা পাইনিওয়ার লায়ন্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক সুমনসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, সুচিত্রা সেনের বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত, মা ইন্দিরা দাশগুপ্তা। বাবা ছিলেন পাবনা মিউনিসিপ্যালিটির স্যানিটারি ইনস্পেক্টর। পরে কর্ম-যোগ্যতায় পদোন্নতি পেয়েছিলেন হেড ক্লার্ক হিসাবে। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে হেড ক্লার্ক পদে কর্মরত অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন। সুচিত্রা সেন ডাক নাম ছিল রমা সেন।
তৎকালীন বৃহত্তর পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সেন ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে নানা রজনীকান্ত সেনের বাড়িতে ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন রমা সেন। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনের একতলা পাকা পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের শিশুকাল, শৈশব ও কৈশরকাল কেটেছে। বাড়িটির প্রতিটি কক্ষের কোনায় কোনায় জড়িয়ে আছে তার স্মৃতি।
পাবনা শহরের ততকালীন মহাকালী পাঠশালা বর্তমানে টাউন গার্লস হাই স্কুলে পড়ালেখা শেষে সুচিত্রা সেন পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে (বর্তমান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন।
নবম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কিছুদিন আগে পারিবারিক প্রয়োজনে সুচিত্রা সেন কলকাতা চলে যান। ১৯৫১ সালের মাঝামঝি সময়ে সুচিত্রা সেনের বাবা করুনাময় দাসগুপ্ত স্ব-পরিবারে কলকাতায় চলে যান।