ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও গাজীপুর-ঢাকা-মদনপুর বাইপাস সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগার। এখানে প্রতিদিনই বাড়ছে ময়লার স্তুপ। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বাড়ছে মশার উপদ্রব। রোগাক্রান্ত হচ্ছে চারপাশের মানুষ। এ ছাড়া বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট। এসব কারণে রূপগঞ্জের ভুলতা-গাউসিয়া ফ্লাইওভার সংলগ্ন ময়লার ভাগাড় এখন চালক-যাত্রী ও পথচারীদের ভোগান্তির আরেক নাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক গোলাকান্দাইল বাস স্টপেজ। এ পথ দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। অথচ এই বাস স্টপেজ ঘেঁষে গত ৫-৬ বছর ধরে আশপাশের বাসাবাড়ির ময়লা ফেলা হয় এখানে। যাচ্ছে দিন, আর বাড়ছে তার পরিধি।
বর্তমানে গাজীপুর-ঢাকা-মদনপুর ৪ লেনের বাইপাস সড়কের পুরো একটি লেন দখল করে আছে ময়লার এই ভাগাড়। সামান্য বৃষ্টি আসলেই পানি আটকে ময়লা আর পানিতে একাকার হয়ে উঠে। তা ছাড়া অত্যন্ত ব্যস্ততম এই সড়কের একটি লেন ময়লায় দখল করে রাখায় প্রায়ই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবাইকে। সড়ক দখল করে ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠায় সড়কে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এ দুর্ভোগ থেকে রেহায় পেতে স্থানীয়রা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও কার্যকরী কোনো ফল মেলেনি।
স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর এমন দৃশ্য দেখেও ব্যবস্থা নেয়নি জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসন। দুর্গন্ধে মুখে কাপড় চেপে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। বায়ু দুষণ ও রোগ-জীবাণুতে আক্রান্ত হচ্ছে এ পথচারীরা।
পথচারীরা জানান, সড়কের উপরেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ময়লা পঁচে বাতাসে দুগর্ন্ধ ছড়াচ্ছে। অথচ এই রাস্তার সাথে রয়েছে মসজিদ, বাসস্টেশন, পাইকারি আড়ৎ, বৃহত্তম কাপড়ের বাজার ও হাসপাতাল সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রতিদিনি এখানে লাখ-লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। নিত্যদিনই সবাইকে এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ময়লা ব্যবস্থাপনাকর্মীরা জানান, ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় রাস্তার ওপরই ফেলতে হচ্ছে। এতে জনসাধারণকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিন্তু কি বা করার আছে ? প্রশাসন যদি ময়লার নির্দিষ্ট কোনো জায়গার ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে।
এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদগুলাতে ময়লা ব্যবস্থাপনার কোনো পদ্ধতি এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। যোগদানের পর গোলাকান্দাইল ইউনিয়নে ময়লার একটি ডাম্পিং স্টেশন করার উদ্যোগ নিয়েছি। তার টেন্ডার প্রসেস প্রায় শেষের দিকে। কাজটি শুরু হলে আশপাশের সকল ময়লার স্তুপগুলোকে নিয়ে এখানে ফেলা হবে। আশা করি, আগামী ২ মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।