রাজশাহীর খড়খড়িতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি ট্রাকের সঙ্গে দুটি বাসের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- নাসিম ও জুয়েল। তাঁরা দুজনেই জামায়াতকর্মী। অপর নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, দুটি বাসে প্রায় ৯০ জন যাত্রী ছিলেন। যাদের সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাণীহাটি ইউনিয়ন শাখা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও সমর্থক।
জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রাণীহাটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ভ্রমণ ও জিয়ারত করতে দুটি বাসে রওনা দেয়। সফরের গন্তব্য ছিল আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আলী আহসান মুহম্মদ মোজাহিদ, কাদের মোল্লার কবর জিয়ারত, পদ্মা সেতু ও বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে একটি বাস রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। আর অপর বাস ও ট্রাক সড়কের ওপরে মুখোমুখি অবস্থায় ছিল। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের রামেক হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে সামনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি ছিটকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় ট্রাকটি পেছনের বাসে ধাক্কা দেয়। এতে ওই বাসটিরও এক পাশ দুমড়ে মুচড়ে আগুন লেগে যায়। পরে দ্রুত যাত্রীরা নেমে গিয়ে আগুন নিভিয়ে খাদে পড়া বাসটির যাত্রীদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
রামেক হাসপাতালের মুখাপত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে প্রায় ৫০ জনের মতো চিকিৎসা নিতে আসেন। এরমধ্যে একজন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪০ জনকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন দুর্ঘটনায় তিনজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।