গাজাবাসীর আহ্বানে বিশ্বব্যাপী হরতালের ন্যায় দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে অবস্থান নেন।
সকাল ১০টার দিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সামনে গণজমায়েত ও একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী।
এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মদন মোহন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রোটারিয়ান অধ্যাপক আতাউর রহমান পীর, দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জননেতা মকসুদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন রশীদ অ্যাডভোকেট, কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক শ্রমিক নেতা এম বরকত আলী, আব্দুল মতোয়ালি ফলিক, সচেতন ব্যক্তি আব্দুল হালিম চৌধুরী, পরিবহন শ্রমিক নেতা ও কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুল ইসলাম শিতাব, সাংবাদিক শহিদ আহমদ খান সাবের, দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমাম হোসেন, কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির কিবরিয়া সিরাজী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, যুব সংগঠক রাহেল বখত তুষার, তাজ উদ্দিন আহমদ, ব্যবসায়ী নেতা আলীমান আখন্দ, জহুর আহমদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন ও গাজাকে ধ্বংস করার পরিণতি ভয়াবহ হবে। এ জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্ব খুনি নেতানিহাহু এবং তাদের দোসরদের খুব শীঘ্রই চরম মূল্য দিতে হবে।
নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশে গাজায় যুদ্ধে যাওয়ায় ইচ্ছুক সংগ্রামী যুবক-যুবতীদের ভিসার ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান এবং অন্তর্বর্তী সরকার এই শতাব্দীর ভয়াবহ ইসরায়েলি নৃৎশংসতা ও গণহত্যা বন্ধের লক্ষ্যে শক্তিশালী প্রতিবাদ ও ইহুদি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশে যেসব দল ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ এই নিষ্ঠুর গণহত্যার ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরব ও রাজপথে তাদের কর্মসূচি নেই, তাদের ইহুদিদের দালাল আখ্যায়িত করে তারা বলেন, এদের শনাক্ত করে নেতৃত্ব বর্জন করতে হবে।