‘রোহিঙ্গারা আরকানের জমি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি।’
বান্দরবান আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আরসা প্রধান সাংবাদিক ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে দুই মামলায় আরসা প্রধান জুনুনিকে প্রথমে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।
পরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত থেকে বের হয়ে পুলিশের গাড়ীতে উঠার সময় ‘অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস যা করছেন তার জন্য শুকরিয়া আদায় করেন’ বলে পুলিশের গাড়ীতে উঠেন।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তায় কারাগারের নিয়ে যাওয়া হয় আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্র সীমান্তে মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলায় গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) এক কর্মকর্তা নিহত হন।
এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা প্রধান) আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে প্রধান আসামি করা হয়। তার সাথে থাকা আরও পাঁচ রোহিঙ্গাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম মজুমদার আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৭ মার্চ গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লি এবং ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরসা প্রধানসহ তার সহযোগীদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।