ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২৫

ছাত্রদল কর্মীকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেয়ায় হামলা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
অভিযুক্ত কর্মী সাঈদ সারোয়ার শুভ। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রদল কর্মীকে বিদায় অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পাওয়ায় স্কুলশিক্ষককে লাঞ্ছিত ও মারধর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পাইপ নিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করার চেষ্টায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের কামানখোলা অলিউল্যাহ মুসলিম পলিটেকনিক একাডেমিতে ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত ওই কর্মীর নাম সাঈদ সারোয়ার শুভ। তিনি দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজ ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনি সদর উপজেলার কামানখোলা বাজার এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে।

জানা গেছে, ঘটনার সময় বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল ৷ সভা চলাকালে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় হাতে এসএস পাইপ নিয়ে তিনি স্কুলে প্রবেশ করেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক ও অন্য কয়েকজন শিক্ষককে গালমন্দ, লাঞ্ছিত ও মারধরের চেষ্টা করেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্কুলে যান শুভর বাবা আবদুল আজিজ। তিনিও প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে স্কুলে প্রবেশ করে ওই যুবক। এ সময় তার হাতে এসএস পাইপ ছিল। তখন সে শিক্ষকদের গালমন্দ করতে থাকে। পরিচয় জানতে চাইলে আমাকে ও অন্যান্য শিক্ষককে মারধরের চেষ্টা করে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আহমেদ ভুইয়া বলেন, শুভ স্কুলে ঢুকেই গালমন্দ করতে থাকে। কেন এমন অশ্লীল আচরণ করছে, জানতে চাইলে আমাকে মারতে তেড়ে আসে সে। শুধু শুভ নয়, তার বাবাও আমাকে লাঞ্ছিত করে এবং মারধরের চেষ্টা করে। আমি বিষয়টি ইউএনও এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাব।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য মাকসুদুর রহমান বলেন, শুভদের পূর্বের ওয়ারিশরা স্কুলে জমি দান করেছেন। এজন্য তার দাবি, আজকের প্রোগ্রামে দাওয়াত না দিয়ে তাকে শিক্ষকরা অপমান করেছেন। এতে শুভ ক্ষিপ্ত হয়ে অনুষ্ঠান চলাকালে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, যা খুবই নিন্দনীয়। তাছাড়া শুভদের পরিবারের একাধিক সদস্য এই স্কুলে চাকরি করছেন।

অভিযুক্ত শুভর বাবা ও সদর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল আজিজ বলেন, প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি বিগত দিনে স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বচ্ছভাবে দেননি। সব লুটপাট করে খেয়েছেন। এখনো একই কাজ করে যাচ্ছেন। তবে শিক্ষকদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া আজকের ঘটনার কোনো জবাব দেননি তিনি। জানতে চাইলে সাঈদ সারোয়ার শুভ তার বাবার মতো প্রধান শিক্ষককে দায়ী করে একই কথা বলেন। তবে আজকের ঘটনার বিষয়ে তিনিও কোনো কথা বলেননি।

সদর উপজেলা পশ্চিম ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বলেন, শুভ ছাত্রদলের কর্মী। তবে কোনো দায়িত্বে নেই। এজন্য তাকে বহিষ্কার কিংবা দলীয় কোনো ধরনের শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়।