সিলেটের জকিগঞ্জে একটি মসজিদ পুনঃনির্মাণ নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পিতাসহ দুই সহোদর ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুমিনপুর গ্রামে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) আসরের নামাজের পর মসজিদ থেকে বাড়ী যাওয়া উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর স্কলার্সহোম মেজর টিলা ক্যাম্পাসের শিক্ষক জালাল উদ্দীন ও তার সহোদর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন এবং তাদের পিতা আব্দুন নূর প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন।
এ ঘটনায় ছোট ভাই আব্দুল বাতিন বাদী হয়ে গতকাল ৬ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং ৩।
মামলার আসামিরা হলেন-লুৎফুর রহমান লুতু (৫৫), রফিকুল ইসলাম রফি (৬০) উভয় পিতাঃ মৃত করামত আলী, নাহিদুল ইসলাম (২১) পিতাঃ লুৎফুর রহমান লুতু, রুবেল আহমদ (২৫), রুমেল আহমদ (২৩), পাবেল আহমদ (২৮) সর্ব পিতাঃ শফিকুর রহমান সফি, আলম সাইফ উদ্দিন (৪২) পিতাঃ মৃত আতাউর রহমান, সুমন আহমদ (৩৮) পিতাঃ মৃত তেরা মিয়া, সোহেল আহমদ হাসন (৪০) পিতাঃ মৃত লোকমান উদ্দিন, মুহিবুর রহমান (৫২) পিতাঃ মৃত মখদ্দছ আলী, সর্ব সাং-মুমিনপুর, ৫নং জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, থানাঃ জকিগঞ্জ, জেলাঃ সিলেট।
মামলার সুত্রে জানা যায়, বিবাদীদের সাথে মুমিনপুর পূর্ব জামে মসজিদের জায়গা ও বসতবাড়ির পুকুরের জায়গা নিয়ে পূর্ব হতে মনোমালিন্য ও বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন বিকালে জালাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে তাদের বাড়ীর পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর পৌছামাত্র পূর্ব হইতে উৎপেতে থাকা বিবাদীগণ ধারালো দা, লোহার রড, সুপারী গাছের রুইল, লাটি সোটা ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের পথরোধ করে ফেলে।
বিবাদী রফিকুল ইসলাম রফির হুকুমে বিবাদী লুৎফুর রহমান লুতু তাহার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়া হত্যার উদ্ধেশ্য তাদের উপর আক্রমন করে। দুই সহোদরের চিৎকার শুনে তাদের পিতা আব্দুন নূর এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনিও আহত হন।
আহতরা জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. সুজন মিয়া বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে পুলিশ ও ডিবির টিম কাজ করছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :