টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় এক গৃহবধূ একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব করেছেন। যার মধ্যে একটি নবজাতক মৃত ছিল। গতকাল রোববার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার কুমুদিনী হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এসব বাচ্চা প্রসব করেন গৃহবধূ আঁখি মণ্ডল।
আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে কুমুদিনী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের রেসিডেন্ট সার্জন মেহেরুন নেছা মায়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
আঁখি মণ্ডল বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের যতুকী গ্রামের রতি সরকারের স্ত্রী। এই দম্পতির ১২ বছরের আরও একটি মেয়ে রয়েছে।
গর্ভধারণের আট মাসে প্রসব ব্যথা নিয়ে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন আঁখি মণ্ডল। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনটি জীবিত ও একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করানো হয়। এর মধ্যে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে।
তবে মায়ের গর্ভেই একটি ছেলে বাচ্চা মারা যায় বলে জানান চিকিৎসক মেহেরুন নেছা।
তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে চারটি বাচ্চা গর্ভধারণ সচরাচর দেখা যায় না। পাঁচ লাখ ১২ হাজার গর্ভধারণে এটি একবার ঘটে। এ ধরনের প্রেগন্যান্সি মা ও চিকিৎসকের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। কেননা এতে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা ও সময়ের আগে ডেলিভারির ঝুঁকি থাকে।
আট মাসে ডেলিভারি ব্যথা নিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং আল্লাহর রহমতে দ্রুত সময়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনটি জীবিত বাচ্চা ও একটি মৃত বাচ্চা ডেলিভারি করিয়েছি। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নবজাতকদের এনআইসিউতে রাখা হয়েছে।’
নবজাতক ও মা ভালো আছেন বলে জানান এই চিকিৎসক।