বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম

ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করে পুলিশে দিল যুবদল ও কৃষকদলের নেতাকর্মীরা

ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম

ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করে পুলিশে দিল যুবদল ও কৃষকদলের নেতাকর্মীরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে ফুলবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন পুলুকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে যুবদল ও কৃষকদলের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নের বিএনপিপন্থি ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন মিলে আব্দুল বাতেন পুলু চেয়ারম্যানকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।

সে উপজেলার ৩ নম্বর কুশমাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

সুত্র জানায়, দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদের ভিতরে কুশমাইল ইউপি সদস্য যুবদল নেতা আবুল কালাম, কৃষক দল নেতা ফজলুর নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন নেতাকর্মী চেয়ারম্যানকে মারধর করে।

কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে উপজেলা পরিষদের ভিতর থেকে চেয়ারম্যানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নের সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন মো. আব্দুল বাতেন পুলু।

বিভিন্ন উন্ননয়ন প্রকল্প ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ভিজিএফের চাল নিয়ে যুবদল নেতা আবুল কালাম মেম্বারসহ অন্যান্য মেম্বারদের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসুচির মতবিনিময় সভা শেষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বের হয়ে আসেন।

পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে আসলেই যুবদল নেতা ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম ও কৃষক দল নেতা ফজলুসহ কয়েকজন মিলে চেয়ারম্যানকে আটকে টেনেহিঁচড়ে পাঞ্জাবি ছিড়ে, মারধর করে।

পরে উপস্থিতি লোকজন তাকে উদ্ধার করে পরিষদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়।

এ সময় উপজেলা পরিষদের ভিতরে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিসহ সেবা গ্রহিতাদের মঝে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

ইউপি সদস্য যুবদল নেতা আবুল কালাম বলেন, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়া লীগের সভাপতি ছিলেন, সে পলাতক ছিলেন। তাকে উপজেলা পরিষদের ভিতরে খোঁজ পেয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে নেতাকর্মীরা।

মারধর করা হয়নি, টানাহিঁচড়ার সময় তার পাঞ্জাবিটা ছিড়ে যায়।

চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন পুলু বলেন, ঈদুল ফিতরের সময় বিএনপি নেতা ইউপি সদস্যরা আমার কাছে ১০ লাখ চাঁদা চেয়েছিল, দেইনি বলে আমাকে মারধর করে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইদুল হক বলেন, চেয়ারম্যানদের সাথে চল্লিশ দিনের কর্মসুচির বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা সভা হয়।

আলোচনা সভা শেষে চলে যাওয়ার পর একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে শুনেছি।

ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানকে গত ৪ আগস্টের থানায় হামলা, ভাংচুর, লোটপাটের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরবি/ আবু

Link copied!