মাদারীপুরে সহকারী শিক্ষকদের পদায়নে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
এ সময় অভিযুক্ত সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজনুর রহমান দুদকের টিমের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়।
মঙ্গলবার সকালে শহরের শকুনি লেকেরপাড়ে সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান জানান, সম্প্রতি মাদারীপুর জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ হয়।এরপর ওই শিক্ষকদের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পদায়ন করা হয়।
পদায়ন করতে শিক্ষকদের কাছে থেকে ঘুষ গ্রহণ করেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজনুর রহমান।
একই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত উপানুষ্ঠানিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ও শিক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের অর্থের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ ওঠে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে অভিযানে যায় মাদারীপুর দুদকের ৭ সদস্যের একটি দল।
যাচাইবাছাই করা হয় প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র। এ সময় প্রশ্ন করলে রেগে যান অভিযুক্ত সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজনুর রহমান।
দুদকের সাথে জড়ান বাকবিতন্ডায়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দুদক প্রধান কার্যালয়ের প্রদান শেষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।
তবে এ বিষয়ে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজনুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আজকে দুদক টিম যে অভিযোগ নিয়ে আসছে তাঁর সাথে আমাদের অফিস নুন্যতম জড়িত না। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে।
মূলত দুদকের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান দুজন সহকারী শিক্ষকের পদায়নের সুপারিশ করেছিল। তা রক্ষা করতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে আজকের এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আমি সহকারী পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। সেখানে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের দায়িত্ব ছিল ৩টি এনজিও সংস্থা। আমি ওই সময়কালীন সেখানে কর্মরত ছিলাম না।