ঢাকা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

দিনদুপুরে জলাশয় থেকে মাছ লুট

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দেখে যেন কারও মনে হবে জলমহাল কিংবা বিলে মাছ ধরার উৎসব চলছে। কার আগে কে কত বেশি মাছ ধরতে পারে যেন তার প্রতিযোগিতা চলছে। এতে অংশ নেয় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে লোকজন।
অথচ এটি কোনো মাছ ধরার (পালো বাওয়া) উৎসব নয়।

দিনদুপুরে সরকারের ইজারা দেয়া জলাশয় থেকে মাছ লুট করা হচ্ছে। স্থানীয় ৩/৪টি গ্রামের মানুষ মাছ ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। গতকাল (৯ এপ্রিল) বুধবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১টি জলমহালের প্রায় ৫ লাখ টাকা মাছ লুট করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর, আফরোগঞ্জ পৃর্ব বেরি (বদ্ধ) বিল। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে বিলের ইজারাদার খবর পান বুধবার ভোরে তার বিলের মাছ লুটপাট করে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি ইজারাদার স্থানীয় শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে দুপুর ১২টায় ওই বিলে অবস্থান নেয় স্থানীয় শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ি। কিন্ত তাতে কোনোও লাভ হয়নি। খলিলপুর বিলের আশপাশে প্রায় ৩/৪ গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে জলমহালটির ৫ লাখ টাকার মাছ লুট করে নেন।

কাদির নামের একজন বলেন, ‘বিল থেকে সখে বশে একটা মাছ ধরেছি। বাসায় নিয়ে খাবো।’

কুশিয়ারা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির লি. এর সভাপতি বিলের ইজারাদার পরবেশ আলী বলেন, ‘আমাদের সব শেষ। আমার প্রশাসনের নির্দেশে মৌলভীবাজার শেরপুর আইনপুর মৌজার পূর্ব বেরি বিল (বদ্ধ) ২৪.৯১ একর জলমহাল গত ৫মে/২৩ ইং হতে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইজারা গ্রহন করে মাছ চাষ করে আসছি। কিন্ত দিনদুপুরে আমাদের বিলের মাছ লুট করে নিয়ে গেছে।

মৌলভীবাজার শেরপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সোহাগ মিয়া বলেন, ‘১১টায় সদর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ টিমসহ আমরা বিলে অবস্থান করি, যাতে কেউ লুটপাট করতে না পারে। কিন্তু সেখানে এত পরিমাণ মানুষ যে আমরা তাদের সামাল দিতে বেগ পেতে হয়। তবে বিল মালিক অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী বলেন, আমি শুনেছি মৌলভীবাজার আইনপুর মৌজার পুর্ব বেরি বিল (বদ্ধ) এর আশপাশের এলাকার লোকজন (সৌখিন পালো বাওয়া) সরকারি ইজারা জমমহালের মাছ লুট করেছে এবং উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগিতায় ব্যাপক ক্ষতি হাত থেকে রক্ষা পায়।