বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম

পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে পরীক্ষার্থী

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম

পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে পরীক্ষার্থী

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনার আমতলীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক দাখিল পরীক্ষার্থী।  আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি।  আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার মহিষকাটা এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের আরিফ মৃধার প্রেমের সম্পর্ক হয়।  গত তিন বছর ধরে তারা প্রেম করছে, এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর।

প্রেমিক কলেজপড়ুয়া আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।  ৩ এপ্রিল আরিফের বাড়ি আসে ওই পরীক্ষার্থী।  পরে আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়।  পুলিশ তাকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন।  কিন্তু আরিফ তাকে বিয়ে করেননি। 

আজ তার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।  সে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছে।  পরে সে ঘোষণা দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরিফ তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে।  অপরদিকে আরিফ মৃধা ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।  এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।  এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন।  বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন।  এখন তাঁর পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না।  তাই আমি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি।  ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব।  আমি তো আমার সবই হারিয়েছি।  এখন আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।’

ওই পরীক্ষার্থী বলেন, ‘৩ এপ্রিল আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তার ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন, এখন তারা পালিয়ে গেছেন।’ 

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন জানান, ‘দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি।  সমাধান হয়েছে কি না, আমি জানি না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে আরিফ মৃধা ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, ‘বিষয়টি জানি।  মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি।  তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম।’

ওসি জানান, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তারা মেয়েকে নিতে রাজি নন।

আরবি/আবু

Link copied!