কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান কান্দিরপাড় গ্রামে ছাগলে গম খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ চার জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে। আহতদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন—মোছা. রেখছোনা খাতুন (৫০), মো. কহবত মন্ডল (৬০), শারুখ খান (২৪) এবং মো. হাবু মন্ডল (৫০)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, একই গ্রামের বাসিন্দা দিনু মিস্ত্রি, তার স্ত্রী শরিফা খাতুন, ছেলে দিপু ও তাদের আত্মীয়স্বজনের ছাগল গম খেয়ে ফেলে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আহত মোছা. রেখছোনা খাতুন বলেন, ‘আমি বাড়ির উঠানে গম শুকাচ্ছিলাম। হঠাৎ দিনু মিস্ত্রির ছাগল এসে গম খেতে শুরু করে। পরে আমি ছাগলটি বেঁধে রাখি। দুই ঘণ্টা পর দিনুর স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রী ও মেয়ে ছাগল নিতে আসে। আমি বলি, একজন পুরুষ লোক নিয়ে আসলে ছাগল ফেরত দেব। তখন আমার স্বামী ও ছেলে বাড়িতে ছিল না। কিন্তু তারা জোর করে ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করে, ছাগল নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ও ছেলে এলে তাদের বলি এবং তাদের জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামী ও ছেলের ওপর হামলা করে। সেখানে আমার কানের স্বর্ণের দুল হারিয়ে যায় এবং কান কেটে দেই তারা। দিনু ও দিপু রামদা দিয়ে আমার স্বামীকে কোপ দেই, সেখানে আমি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে আমার হাতে আঘাত পাই। আমি এর বিচার চাই। পরে তারা যেন কোনো প্রকার এই রকম কাজ করতে না পারে।’
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, ‘আহতদের আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা তুলনামূলক গুরুতর।’
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত পক্ষ থেকে দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলা নম্বর: ১১/১৬৭। তদন্ত চলমান রয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :