ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

ভাগিনীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ঘাতক ডিবির হাতে ধরা

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
ভাগিনীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ঘাতক ডিবির হাতে ধরা। ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে খালাতো বোনের মেয়েকে (ভাগিনী) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।

কক্সবাজারের রামু থানার রশিদনগর ইউনিয়নের কাদমার পাড়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল।

তিনি বলেন, ‘চন্দনাইশে খালাতো বোনের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনকে কক্সবাজারের রামু থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। 

এর আগে, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া
এলাকার নানার বাড়িতে কলেজ শিক্ষার্থী তামান্না নাহিদ ইয়া ওরফে আরজু আক্তারকে হত্যা করে পালিয়ে যায় তার আপন খালাতো মামা নাজিম উদ্দিন।

একই সঙ্গে ওই কলেজ শিক্ষার্থীর নানা ৭০ বছর বয়সী আব্দুল হাকিম ও নানী ৬০ বছরের ফরিদা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেন তিনি। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত আরজু ওই উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের কাঞ্চননগর গ্রামের বাসিন্দা। আর অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিন নিহত তরুণীর মায়ের আপন খালাতো ভাই এবং সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত ছৈয়দ আহমেদের ছেলে।

জানা গেছে, নিহত আরজু আক্তারের নানা আব্দুল হাকিমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন মামাই বিদেশে থাকেন। ঘটনার সময়
পাকা ঘরের দ্বিতীয় তলায় তিন ছেলের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। আর নিচতলায় আব্দুল হাকিম, ফরিদা, আরজু ও নাজিম। 

আরজু ঈদুল ফিতরের সময় নানার বাড়িতে বেড়াতে যান। আর মঙ্গলবার রাতে নাজিম তার খালা ফরিদা আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে যান। ওই রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ধারণা, তরুণীকে ধর্ষণের পর টয়লেটের ভেতর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি নানা-নানি দেখে ফেলায়
তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়।