চুয়াডাঙ্গা লোহাপট্টি এলাকায় তরমুজের ভেতরে সাদা হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে রুবেল ইসলাম রুবু (৩৫) ও আমিরুল ইসলাম (২৭) নামের দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তাদের মধ্যে গুরুতর জখম হওয়ায় আমিরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আহত রুবেল ইসলাম পৌর শহরের বেলগাছিপাড়ার মৃত দুলালের ছেলে এবং আমিরুল ইসলাম শান্তিপাড়ার সদর আলীর ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান বলেন, ‘তরমুজ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বড় বাজার থেকে একটি তরমুজ কিনে রং সাদা হওয়ায় এক ক্রেতা তা ফেরত দিতে আসেন। এ নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতা পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়, যার জেরে রুবেল ও আমিরুলের ওপর হামলা চালানো হয়।
আহত আমিরুল বলেন, ‘আমি ও রুবেল পুজাতলার দিক থেকে মোটরসাইকেলযোগে বড় বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। ফেরিঘাট সড়কের লোহাপট্টি এলাকায় পৌঁছালে ২০ থেকে ৩০ জন আমাদের পথরোধ করে।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা দা, হাসুয়া, পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমি ও রুবেল রক্তাক্ত হই। হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমি সবার মুখ না চিনলেও কয়েকজনকে চিনেছি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, ‘রাত পৌনে ১১টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমিরুলের পায়ের একটি হাড় ভেঙেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান আরও বলেন, ‘তরমুজ বিক্রি ও ফেরত দেওয়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’