শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ১০:৩৪ এএম

বিএসএফ‍‍’র নির্যাতনে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ১০:৩৪ এএম

বিএসএফ‍‍’র নির্যাতনে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

নিহত ওয়াসিম। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ওয়াসিম নামের এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। হত্যার পর তার মরদেহ সীমান্তের ইছামতি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। 

গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ওই যুবকের মরদেহ ভেসে ওঠে। এদিকে মরদেহটি বাঘাডাঙ্গার গ্রামের বুনোপাড়ার ওয়াসিমের বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ করে আসছিল তার পরিবার। নিহত ওয়াসিম বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক মাঠে যাওয়ার পথে মরদেহ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তবে মরদেহ নদীতে থাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তার নাম পরিচয় অজানা ছিল।

কিন্তু ধুড় পাচারের সময় ভারতের অভ্যন্তরে ওয়াসিমের সঙ্গে যাওয়া মহেশপুরের সলেমানপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান, কাঞ্চনপুর গ্রামের রাজু, শাহাবুদ্দিন, মানিক ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মরদেহটি ওয়াসিমের বলে জানায়।

ওয়াসিমের বড় ভাই বুনোপাড়ার মেহেদী হাসান দাবি করেন, তার ভাই ওয়াসিম ৩-৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। মাঝেমধ্যে সে ভারতে ধুড় নিয়ে যাতায়াত করত বলে শুনেছি। গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ ক’জন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যায়।

ভারত থেকে ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের ধাওয়া করলে অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও বিএসএফ’র হাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম। তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।

ওয়াসিমের পিতা রমজান আলী জানান, বিভিন্ন সূত্রে তিনি জানতে পারছেন মরদেহটি তার ছেলে ওয়াসিমের। তিনি দ্রুত মরদেহটি উদ্ধারের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে খালিশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম জানান, মরদেহটি ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে থাকায় উদ্ধার করা যায়নি। তবে বিএসএফকে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, মৃতদেহটি বাংলাদেশি না ভারতীয় তা এখনো আমরা জানতে পারিনি। এ ছাড়া কোনো পরিবার তাদের কোনো সদস্য নিখোঁজ থাকার বিষয়েও জানায়নি।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা জানান, ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে একটি মরদেহ ভাসছে এটা শুনেছি। তবে মরদেহের পরিচয় এখনো মেলেনি।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে একটি মরদেহ পড়ে আছে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি কাজ করছে। বিএসএফের সঙ্গে বিজিবি যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিবে। কাজেই বিজিবি না জানানো পর্যন্ত আমরা কোনো কিছু নিশ্চিত করে বলতে পরছি না।

আরবি/জেডআর

Link copied!