ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফোনে বাসায় ডেকে ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ীকে হত্যা তরুণীর

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
নিহত ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরিশালে মাদকাসক্ত তরুণীর ছুরিকাঘাতে মাসুদুর রহমান নামে চল্লিশোর্ধ্ব ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার শহরের নতুন বাজার ট্যাম্পোস্ট্যান্ড এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে মাসুদকে ফোন করে ডেকে বাসায় নেন কলেজ রোডের শওকত মোল্লার মেয়ে শান্তা।

ওইদিন রাতে আবাসিক ভবনে ২ সন্তানের জনকের পেটে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করা হলে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এবং ঘটনার সাথে জড়িত তরুণীসহ তার দুই ভাইকে আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

কিন্তু ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর তরফ থেকে পুলিশ কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় তরুণীসহ দুই ভাইকে মুক্তি দেওয়া হয়। দুদিন বাদে অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ব্যবসায়ী শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, যা নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে কোতোয়ালি পুলিশ।

নিহতের ভাই মাহফুজুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তার ভাই মাসুদুর রহমানের বেকারির ব্যবসা রয়েছে। মাসুদের
প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে তিনি কলেজ রোড এলাকার শওকত মোল্লার মেয়ে শান্তার সাথে হৃদয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
মাদকাসক্ত শান্তা তাকে দীর্ঘদিন ধরে ঠকিয়ে আসছিলেন, বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেননি।

মাহফুজের অভিযোগ, বুধবার বেকারির মালামাল আনার জন্য ২ লাখ টাকা নিয়ে মাসুদ রওনা হলে শান্তা ফোন করে তাকে
বাসায় ডেকে নেন। এরপর শান্তা এবং তার ভাই লোকমান হোসেন ওই টাকা নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করলে মাসুদ বাসা থেকে
বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তরুণীসহ তার দুই ভাই মাসুদের পেটে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন।

এতে তিনি গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পরে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, বুধবার রাতে কোতোয়ালি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তরুণীসহ তিনজনকে আটক করলেও
পরবর্তীতে তাদের অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলছেন, বুধবার রাতে হামলার বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করি। তখন ভুক্তভোগী মাসুদ পুলিশের কাছে পড়ে গিয়ে জুতার বক্সে আঘাত পেয়েছেন দাবি করেছিলেন। এবং এই ঘটনায় তিনি অভিযোগ করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন, তাই আটকদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওসি মিজান বলেন, মাসুদের সাথে শান্তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাই মাসুদুর রহমান বিষয়টি চেপে যেতে চেয়েছেন। এখন যেহেতু তার মৃত্যু হয়েছে, সেহেতু আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’