কুমিল্লার মুরাদনগরে জমি থেকে ছাগলের ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কুড়াখাল-দিঘীরপাড় বিলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কুড়াখাল গ্রামের মৃত করম আলীর ছেলে কামরুল হাসান (৬২), তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজল (৩১), একই গ্রামের আলম, সিয়াম, বশির ও ইমরান এবং দিঘীরপাড় গ্রামের ওয়াহেদ মুন্সির ছেলে সজিব মুন্সি (৩৫), কাজী ইসমাইলের ছেলে হৃদয় কাজী (২৩), কাজী আহম্মদের ছেলে জুয়েল কাজী (২৩), মুনাফ মুন্সির ছেলে বশির মুন্সি (২৮)।
জানা যায়, কুড়াখাল গ্রামের কামরুল হাসান কুড়াখাল-দিঘীরপাড় বিলের জমিতে তার গৃহপালিত কয়েকটি ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী দিঘীরপাড় গ্রামের সজীব মুন্সি তার জমিনের ঘাস ছাগল দিয়ে খাওয়ানো এবং কেটে নেওয়ার অভিযোগ এনে কামরুল হাসানকে মারধর করে। এ সময় কামরুলকে বাঁচাতে তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজলসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সজীব মুন্সি মোবাইলের মাধ্যমে দিঘীরপাড় গ্রাম থেকে লোকজন ডেকে আনে। পরে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে শুরু হয় মারামারি। এতে গুরুতর আহত হয় কুড়াখাল গ্রামের কামরুল হাসান ও তার ছেলে হৃদয় সরকার কজল, আলম ও সিয়াম।
মারধরের শিকার কামরুল হাসান জানান, শুক্রবার বিকেলে তার গৃহপালিত কয়েকটি ছাগলকে বিলের ফাঁকা জমিতে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়। এ সময় সজীব মুন্সি তাকে মিথ্যা ঘাস চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে। সজীব এতেও শান্ত না হয়ে তার গ্রামের লোকজনকে ডেকে এনে পুনরায় কামরুল হাসান, তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজলসহ তাকে উদ্ধার করতে আসা অন্য চারজনকে বেধড়ক মারধর করে।
অভিযুক্ত সজীব মুন্সি বলেন, বিলে একটি ঘাস খেত করেছি। প্রতিদিনই আমার অজান্তে তা থেকে ঘাস কেটে নিয়ে যাওয়া হতো। শুক্রবার বিকেলে খেত দেখতে গিয়ে দেখি কামরুল হাসান প্রায় ১০ থেকে ১২টি ছাগল দিয়ে ঘাস খাওয়াচ্ছে। বাধা দিলে সে তার বাড়ি থেকে লোকজন ডেকে এনে আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে। পরে বাঁচাতে বাড়ির লোকজন ডেকে এনে তাদের প্রতিহত করেছি। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকেও চারজন আহত হয়েছি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, ছাগলের ঘাস কাটা নিয়ে মারামারির ঘটনায় একপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।