বগুড়ার ধুনটে পুলিশকে মারধর করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শ্রমিকদল নেতা সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নারী পুরুষসহ ১১ জন ও অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে পৌর এলাকার চর ধুনট গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ধুনট থানার এসআই হারুনার রশিদ জানান, ১১ এপ্রিল রাত্রিকালীন ডিউটি করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, একটি মামলার আসামীরা ধুনট পৌর এলাকার চর ধুনট গ্রামে পৌর শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদের বাড়িতে অবস্থান করছে। আমি ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে ওসি স্যারকে অবগত করি।
ওসি স্যারের নির্দেশে রাত দেড়টার দিকে এ এসআই সেলিম শেখ ও দুইজন কনষ্টেবল সহ পুলিশ পিকআপ নিয়ে চর ধুনট গ্রামে শ্রমিকদল নেতা আব্দুল মজিদের ঘর থেকে এজাহারভুক্ত আসামী মহা আলম জীবনকে গ্রেপ্তার করি। এসময় শ্রমিকদলের নেতার স্বজনেরা পোষাক পরিহিত পুলিশদেরকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে ঘরের টিনের বেড়ায় লাঠি দিয়ে উচ্চ শব্দে আঘাত করতে থাকে। তাদের চিৎকারে মহিলা সহ অন্তত ২০/২৫ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে আসামী মহা আলমকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা চালায়।
আসামীকে ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে তারা পুলিশ উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। এতে এসআই হারুনার রশিদ সহ ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত এসআই হারুনার রশিদ আরও জানান, তারা একপর্যায়ে আহত পুলিশ সদস্যদের জিম্মি করে রাখে।
অবস্থার বেগতিক দেখে থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদকে গ্রেপ্তার করে ও জিম্মিদশা থেকে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।
পুলিশের উপর হামলার বিষয়টি দুঃখ প্রকাশ করে উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক আসাদুল ইসলাম বলেন, আব্দুল মজিদ পৌর শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে অপকর্ম করলে তার দায়ভার দল বহন করবে না। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন,পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। রাতেই মূলহোতা শ্রমিকদল নেতা আব্দুল মজিদ সহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :