ঢাকা রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

ইকোপার্ক ঘুরে দেখলেন পঞ্চগড়ের রাজনৈতিক নেতারা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

পঞ্চগড়ের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ থাকার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

শনিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাত্র ৩২ দিনে গড়ে ওঠা মীড়গড় ইকোপার্ক পরিদর্শনে গিয়ে এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তারা।

এজেলার জন সাধারণ এরকম মনোরম পরিবেশে পার্ক স্থাপন হওয়ায় অনেক খুশি হয়েছে।  সদর উপজেলার ধাক্কামাড়া ইউনিয়নের মীড়গড় এলাকায় এই ইকোপার্কটি গড়ে উঠেছে।

৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের পর স্থানীয়দের দাবির পরি প্রেক্ষিতে গত মাসের শুরুর দিকে প্রায় ১২ একর খাস জমিতে এই পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। শনিবার জেলা প্রশাসক মো: সাবেত আলীর আমন্ত্রণে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ইকোপার্কটি পরিদর্শনে যান।

এসময় তিনি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদেরকে পার্কটি ঘুরিয়ে দেখান। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবাল হোসেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন মাত্র ৩২ দিনের মাথায় এরকম একটি ইকো পার্ক গড়ে তোলা নি:সন্দেহে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। রাজনীতির বিভিন্ন মতাদর্শ বা মতবাদ থাকতে পারে কিন্তু জেলর উন্নয়নে আমরা সকল রাজনৈতিক দল এক থাকবো। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু বলেন, আমার বাড়ি যেহেতু এখানে তাই এই পার্কটির জন্য আমার অনেক দায়িত্ব রয়েছে।

আমাকে অনেক দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি সাথে আছি। এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবাল হোসাইন বলেন জেলা প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন।

এই পার্কে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক সার্জিজ আলম বলেন, আজ জেলার সকল নেতৃবৃন্দ আমরা একসাথে এসেছি। এটাই আজকের শিরোনাম হতে পারে। জেলা উন্নয়নে আমরা এক থাকবো। জেলা প্রশাসক মো: সাবেত আলী বলেন, জেলায় দায়িত্ব নেয়ার পর এই অঞ্চলের ছাত্র, যুবক, সিনিয়র সিটিজেন সহ বিভিন্ন মানুষের  সাথে কথা বলেছি। একটি ইকো পার্ক গড়ে তোলার দাবি ছিলো সবার।

একদিন আশ্রায়ন প্রকল্পে থাকা মানুষদের সাথে কথা বলতে এসে এই যায়গাটি খুঁজে পাই।  তারপর এখানে ইকোপার্ক স্থাপনের চিন্তাটা মাথায় আসে। কাজ শুরু করেছি। আপাতত: কিছুটা দাঁড়িয়েছে। আরও অনেক কাজ বাকি আছে। ঢাকা থেকে অভিজ্ঞ আর্কিটেকচার দিয়ে পার্কটির ডিজাইন করা হয়েছে।

পঞ্চগড়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পরিভ্রমণে এসে পার্কটির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন।এবং কি এই পার্ক টির কারণে এখান কার মানুষের রুটি রোজগার ও নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হবে।পার্ক টি সৌন্দর্য বর্ধনে আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে।

যা পর্যায়ক্রমে শেষ হবে। এবং অর্থনৈতিকভাবে সচল হবে এই এলাকার মানুষ। ইকোপার্ক নির্মাণ প্রথম থেকে যিনারা এখনো সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।