গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশ নিতে জনতার রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী যাওয়ার পথে গাজীপুর মহানগরীর কয়েকটি স্থানে পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবি করে নগরীর কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও বোর্ডবাজারে হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার মার্চ ফর গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, কালিয়াকৈর, টঙ্গী, বোর্ডবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাজার হাজার পোশাক শ্রমিকরাসহ সাধারণ জনতা। বিকেলে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জড়ো হতে থাকে।
এক পর্যায়ে মিছিল বিশাল আকার ধারণ করে। মিছিলটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে ঢাকার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বহিরাগতরা বিভিন্ন পোশাক কারখানাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা কোনাবাড়ী এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেড, কনকর্ড নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের মাইমুন ও মতিন গার্মেন্টস খোলা থাকায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
তা ছাড়া কোনাবাড়ীতে বাটা শো-রুম, খাবারের দোকান আজওয়া, পিজ্জা হল, আপেক্স, স্বপ্ন সুপার সপ, বিউটি সুইটমিটসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০টি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরে বিক্ষুব্ধরা কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল রেইনবো ও মুনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় রেইনবো হোটেল থেকে পেছন দরজা দিয়ে কয়েকজন যৌনকর্মী দৌড়ে পালানোর সময় এক যৌনকর্মীকে বিক্ষুব্ধ জনতা আটক করে বেদম মারধর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে বিক্ষুব্ধরা জনতা মুন হোটেল থেকে আসবাবপত্র বের করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো কোনাবাড়ীতে। স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেডের এডমিন ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, বিকেলে বহিরাগত শ্রমিকরা এসে কারখানায় হামলা চালায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু মোহাম্মদ নাসের আল আমিন বলেন, বিকেলে কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কোনাবাড়ীতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবি জানিয়ে বেশকিছু দোকানপাট ও শপিংমলে হামলা ও ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।