‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইপিজেডে (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল) কয়েকটি পোশাক কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার ভোরে আদমজী ইপিজেডের কর্মকর্তা মুনসুর হাওলাদার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান এ থানার ওসি শাহীনূর আলম।
মামলায় ইপিজেডে অনাধিকার প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও নিরাপত্তা কর্মীদের মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ৪৫ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদনও করা হবে বলেও জানান ওসি।
এ ছাড়া, এই মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে কারখানা বন্ধ রেখে ‘মার্চ ফর গাজা’ মিছিলে যোগ না দেওয়ায় কয়েকশ’ লোক ইপিজেড এলাকায় ঢুকে পোশাক কারখানাগুলোতে হামলার ও ভাঙচুর চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের বয়স ১২ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে গ্রেপ্তারের তালিকায়। তাদের ঘটনাস্থল থেকে যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার করে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা শহীনূর আলম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা ইপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোং লিমিটেড, ইউনিক বিডি লিমিটেড, সিম্মা ইউনিট-২ এবং অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেডে ভাঙচুর চালান।
অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেড কারখানাটির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরও করেন। কারখানা বন্ধ না করলে কারখানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেন তারা। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান দুপুর ১২টার দিকে বলেন, “ইপিজেডে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের আদালতে তোলা হবে।”