ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে দুটি ইউনিয়নে মানুষের ঘরবাড়ি, গাছপালা, সবজি, আমবাগানসহ ভুট্টাক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস। এ সময় উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ও আমগাঁও ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ঝড় বয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরিপুর উপজেলার কামারপুকুর গ্রামের অবস্থা প্রায় লণ্ডভণ্ড। কারো ঘরের ঢেউটিন নেই। কারো ঘর চাপা পড়েছে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। ভুট্টক্ষেত মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। পিয়াজের বীজের ক্ষেতেরও দশা একই।
কামারপুকুর গ্রামের বাসিন্দা সাজু ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি। অনেক টাকা ব্যয়। গাছে গাছে মচকা শোভা পাচ্ছে। আর কিছুদিন পরে ভুট্টা পাকবে। ঝড়ের কারণে ফলন কম হতে পারে।
এদিকে হরিপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ের তাণ্ডবে সড়কের মধ্যে গাছে ডালপালা ও গাছ উপচে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন সড়কে মোটামোটা গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় ও গাছপালা উপড়ে পড়ায় সড়ক যোগায়োগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ড়ে। একই কারণে বেশিরভাগ এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এই বিষয়ে ২নং আমগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিবর রহমান চৌধুরী জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে আমগাঁও ইউনিয়ন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে ভুট্টা চাষিরা। আমরা ক্ষতির বিষয়গুলো দেখে সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
এদিকে হঠাৎ কালবেশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োলসহ পার্শবর্তী এলাকার পেয়াজ বীজ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শতশত বিঘা জমির পেয়াজের ফুল পাথরের আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে মাটিতে ঝড়ে পড়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার জানান, কালবেশাখী ঝড়ে কৃষকদের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছে। এছাড়া বিদ্যুৎসহ যে সব সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তা দ্রুত চালু করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।