ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

ময়মনসিংহে শালিসে না আসায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার শালিসে না যাওয়ায় বাবা ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে শালিসকারীরা। রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই এলাকার বাবা আব্দুল গফুর (৪০) ও ছেলে মেহেদী হাসানকে (১৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও চুরি ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে কয়েক দিন যাবৎ গ্রামে শালিস বসার কথা ছিল। আজ দুপুরে গফুরের বাড়ি সংলগ্ন নাওগাঁও হোসেনীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনে গ্রামের শত শত মানুষের শালিস বসে। শালিসে আ.গফুর ও মেহিদী হাসান উপস্থিত না হয়ে নিজ ঘরে রাম দা নিয়ে বসে থাকে।

শালিসে না তাদের খোঁজতে বাড়িতে যান শালিসের লোকজন বাড়িতে গেলে দা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসে তারা । এসময় শালিসে উপস্থিত বিক্ষুব্দ লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আ. গফুর ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে হত্যা করে।

বাবা ছেলেকে হত্যা করার পর শতশত মানুষ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে গিয়ে হারুন অর রশিদ নামের একজনের বাসা, দোকান ঘর ও একটি মাজার ভাঙচুর করেন।

নিহত আ. গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ শতশত মানুষ শালিসের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। যত অপরাধই করে থাকুন দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমে বিচার হতো। বাবা ছেলেকে কেন নির্মম ভাবে হত্যা করলো। বাবা ছেলে নিহত হওয়ার পর পরই শালিসকারীরা ঘা ঢাকা দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে।

ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রোকনুজ্জামান বলেন, শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বাবা ছেলের বিরুদ্ধে গ্রাম্য শালিস বসেছিল। শালিস থেকে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।