সরকারি মালিকানাধীন এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) বগুড়ার কারখানা থেকে ৫৪ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অফিস ছুটির সময় তাদের বলা হয়, রোববার থেকে তাদের আর অফিসে আসতে হবে না। অথচ কয়েক মাস আগে ৮৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ চাকরিচ্যুত হয়নি।
তাঁদের অভিযোগ, তারা প্রত্যেকেই ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে এই কোম্পানিতে চাকরি করছেন। কিন্তু ‘আওয়ামী রাজনীতির ট্যাগ দিয়ে’ তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হলো।
কারখানায় সিনিয়র ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন আমিনুল হক লোকমান বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে চাকরি করছি এখানে। বৃহস্পতিবার অফিস ছুটির পর পুলিশ ডেকে এনে ৫৪ জনকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত জনবলকে শ্রম আইনের ধারা-২৬ অনুযায়ী ১০ এপ্রিল থেকে টারমিনেশন করা হলো।
তিনি বলেন, ‘বগুড়াসহ প্রতিটি কারখানাতেই অতিরিক্ত জনবল রয়েছে। এ ছাড়া কয়েক মাস আগে বগুড়া কারখানায় ৮৫ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমরা এই শেষ বয়সে কোথায় চাকরি পাব?’
প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে সততার সঙ্গে চাকরি করে আসছি। আমার বাড়ি গোপালগঞ্জে হওয়ায় আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
অথচ গোপালগঞ্জ শহরে নাম করা বিএনপি পরিবারের মধ্যে আমরা একটি পরিবার। আমার বাবা মরহুম এস এ সবুর ১৯৭৮ সালে গোপালগঞ্জ সদর থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ার কারণে আমাকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়।’
বগুড়া এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক (প্ল্যান্টপ্রধান) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘অতিরিক্ত জনবল দেখিয়ে প্রধান কার্যালয় থেকে ৫৪ জনকে টারমিনেশন করা হয়েছে।
তবে বগুড়া কারখানায় ১ হাজার ১৬৭ জন শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত। কারখানার প্ল্যান্ট অনুযায়ী সাড়ে ৮০০ শ্রমিক-কর্মচারী প্রয়োজন। অন্য কারখানাগুলোতেও অতিরিক্ত জনবল রয়েছে।
কয়েক মাস আগে ৮৫ জন নতুন শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগ বিষয়ে উপমহাব্যবস্থাপক বলেন, প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইডিসিএল কোম্পানিতে নিয়োগ এবং শ্রমিক ছাঁটাই প্রধান কার্যালয় থেকে করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :