নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ঝর্ণা আক্তার (২৪) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী মো. শারফিন (৩৪) তাকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শারফিনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ঝর্ণা ওই এলাকার জয়নাল আবেদীনের মেয়ে। স্বামী শারফিন স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ওয়েলডিংয়ের কাজ করেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর জানান, দুপুরে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের আড়াই বছর বয়সি সন্তান একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। এরপর শারফিন কর্মস্থলে চলে যান।
কিছুক্ষণ পরই মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে বাসায় ফিরে শারফিন দেখতে পান, ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলছে তার স্ত্রীর দেহ। পরে তিনি ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামিয়ে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, নিহতের মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও, আঘাতের চিহ্ন এবং পরিবারের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল
মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, “নিহতের পরিবারের দাবি অনুযায়ী গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। তাই স্বামী
শারফিনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
আপনার মতামত লিখুন :