লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু`পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপিকর্মী সাইজ উদ্দিন দেওয়ানকে হত্যার ঘটনায় এজাহাভূক্ত আসামি জলিল দর্জিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে তাকে চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানার স্টেশন এলাকা থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার জলিল দর্জি রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের আলী ইসলাম দর্জির ছেলে ও হত্যা মামলার ৮ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।
এজাহারের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী সাইজ উদ্দিন স্পেন প্রবাসী ছিলেন। পূর্বশত্রুতার জের ধরে ৭ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে বাদী হানিফ দেওয়ানের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া ও তার পরিবার লোকজনদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আসামিরা জড়ো হয়ে রওয়ানা দেয়।
এর মধ্যে বাদীর ছোটভাই সাইজ উদ্দিন তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আসছিলেন। পথে তাকে আসামিরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেওয়ার সময় আটকে রাখে।
পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এতে ৯ এপ্রিল হানিফ বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে র্যাব।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে রায়পুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাইজ উদ্দিন স্পেন প্রবাসী হলেও বিএনপির সক্রিয় কর্মী। ৭ এপ্রিল রায়পুর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব জিএম শামীম ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক কবিরাজের অনুসারী ফারুক গাজীর লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ঘটনার সময় সাইজ উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে হাসপাতাল নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর ১৬ নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে উপজেলা বিএনপি।
আপনার মতামত লিখুন :