ঢাকা বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

পহেলা বৈশাখের দিনেও সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ে পাঠদান

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষের দিনেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী (এনএএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে চলেছে বিদ্যালয়ের পাঠদান।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারের বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করলেও সকাল থেকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সকল শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে দেখা গেছে শিক্ষকদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ ‍‍`বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চলছে পাঠদান কর্মসূচি।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন হাতে বেত নিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষে ঘুরে দেখেন।

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইমুনা ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, আমাদেরকে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসতে বললেতো আসতেই হবে।  আমাদের ক্লাস করানো হবে বলে বই-খাতা নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।  আগামী বছর আমাদের এস.এস.সি পরীক্ষা তাই শিক্ষকরা ক্লাস করানো হবে বলে জানিয়েছেন। 

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান রূপালী বাংলাদেশ‍‍`কে জানান, গতকাল শিক্ষকরা ক্লাস করানো হবে জানিয়ে আমাদের বই-খাতা নিয়ে স্কুলে আসতে বলেছে তাই আজকে  আসছি।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক বশির উদ্দিন রূপালী বাংলাদেশ ‍‍`কে জানান, বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো হচ্ছে। এখানে আমরা চাকুরী করি তাই তাদের নির্দেশনা পালন করতে হবে।

ক্লাস করানোর সময় আরেকজন শিক্ষক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, এবার বই দিতে অনেক বিলম্ভ হয়েছে। তাই ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে রয়েছে।  এজন্য আজকে ক্লাস করানোর নিয়ম না থাকলেও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসে ক্লাস করানো হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কামাল হোসেন রূপালী বাংলাদেশ‍‍`কে বলেন, যেহেতু বিদ্যালয়টি বর্তমানে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র তাই বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের পড়া যেনো পিছিয়ে না যায় সেজন্য শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করানো হচ্ছে। এতেতো অপরাধের কিছু নেই।  

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই, আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম। এমন একটি দিনে ক্লাস করানো ঠিক হয়নি।  বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।