পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির প্রাপ্ত অংশ লিখে না দেওয়ার কারণে মেয়ে মায়ের ওপর হামলা এবং বাড়িঘর ভাংচুর করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নস্থ ৪নং ওয়ার্ডের পাহাড় ফুলদী গ্রামে।
জানা গেছে ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। আনোয়ার হোসেনের দুই মেয়ে রিমা আক্তার ও শীলা আক্তার দুই বোন মিলে তার পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ তাদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বারবার বলা হলেও তাদের মা ফরিদা ইয়াসমিন এতে কোন কর্ণপাত করেনি।
এরই জের হিসেবে ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৮টার সময় রিমা আক্তার ও শীলা আক্তার তাদের স্বামীকে সাথে নিয়ে পিতার বাড়িতে যায় এবং মা ফরিদা ইয়াসমিনের কাছে তাদের পাপ্য অংশ লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
এতে ফরিদা ইয়াসমিন অপারগতা প্রকাশ করলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সকলে মিলে ফরিদা ইয়াসমিনের উপর হামলা চালায় এবং বাড়িঘর ভাংচুর করে।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদা ইয়াসমিনের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আমি মেয়েদেরকে সম্পত্তি দিতে রাজি আছি। কিন্তু তাদের পিতার নামে ব্যাংকে বহু টাকা ঋণ রয়েছে। এ ঋণ পরিশোধ করে তাদের সম্পত্তি বন্টন করে নেওয়ার জন্য বললেও তারা এতে রাজি হয়নি। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা চালায় এবং বাড়িঘর ভাংচুর করে।
বিষয়টি নিয়ে রীমা আক্তারের স্বামী আব্দুল বাছেদ মিয়ার সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, তার শ্বশুর আনোয়ার হোসেনের নামে ব্যাংকে কোন ঋণ নেই। তার শ্বাশুরী সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য বিভিন্ন তালবাহনা করে আসছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমার শ্যালক মো: সাব্বির হাসানকে আমেরিকা পাঠানোর সময় ৫ লাখ টাকা আমাদের নিকট থেকে ধার নেয়।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এ টাকা আমার শ্বাশুরি আমাদেরকে পরিশোধ করেনি। তাই ঘটনার দিন আমার শালিকা শীলা আক্তার তার স্বামী সজল মাহমুদ ও আমার স্ত্রী রীমা আক্তার আমাদের পাওনা টাকা আনার জন্য আমার শ্বশুর বাড়িতে যায়। ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না।
এ ঘটনায় শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আফজাল হোসাইন জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :