ঢাকা বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ১১:৫৭ এএম
আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কলার বাগানে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে কবির হোসেন আকবর (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে হামলা করেছে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরা। গুরুতর আহত ওই ব্যক্তি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে জানা যায়।

ফলে এই হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকেল ৪টায় এলাকাবাসীরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে সোনালিয়া চকবাজার এলাকায়। 

আহত ওই ব্যক্তির বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার এলাকায়। সে ওই এলাকার মৃত রশিদ সিকদারের ছেলে।

‎হামলাকারীরা হলেন- ওই এলাকার গিয়াস সরকার, সালমা বেগম, মিল্টন, রকমান, আজমতসহ তাদের সহযোগিরা।

‎এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত সবাই বলেন, আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের সবাইকে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোড় দাবি করছি।

এরা এই সমাজের শত্রু, দেশের শত্রু, এদের কারণে আমরা এলাকায় শান্তিতে বসবাস করতে পারি না। কারণ এরা এর আগেই অনেক অপকর্ম করেছে, বর্তমানেও করছে।

তারা আরও বলেন, এই আসামিরাসহ তাদের আরও সহযোগীরা মিলে প্রতি রাতে মাদক সেবন করে, বিক্রিও করে, কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। এখনই সময় তাদের প্রতিহত করা।

‎নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, মামলার প্রধান আসামি গিয়াস সরকার একজন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী। সে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অপকর্মের সাথে জড়িত এটা এলাকার সবাই জানে।

‎এ ছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত অনেকেই দাবি করেন, তাদের নামে এর আগেও মার্ডার মামলা আছে। তাই তাদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিতে হবে।

‎উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন হামলার শিকার হওয়া ওই ব্যক্তি। পরে পাশের একটি কলাখেতে তার ছাগল গেলে তা নিয়ে হামলাকারীদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তার মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে কোদাল দিয়ে আঘাত করে, একটি পা ভেঙে ফেলে। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে আহত ওই ব্যক্তি লাইফ সাপোর্টে আছে।

‎পরে আহত ওই ব্যক্তির ছেলে নাইম ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলা দায়ের করার পর ২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম রাশেদ ফজল।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- আহত ওই ব্যক্তির ছেলে নাইম ইসলামসহ স্থানীয় জনতা।

‎পরে মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা মামলার আসামি গিয়াস সরকারের বাড়িতে ভাঙচুর শেষে দুটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরার বিষয়টি মির্জাপুরের ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

‎এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মির্জাপুর ক্যাম্পের সেনা কর্মকর্তারা, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রমুখ।

‎মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম রাশেদ ফজল বলেন, আমি দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমি শুনেছি, বাদীপক্ষ আজকে মানববন্ধন করেছে, পরে বিক্ষুব্ধ জনতা আসামির বাড়িতে আগুন দিয়েছে।