পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের গ্রামের বাড়িতে আগুন লাগার ঘটেছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন একটি টিনশেড ঘরে ধানের খড় ও খড়ি সংরক্ষিত ছিল। সেখানে আগুন লাগার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, মধ্যরাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশীরা আগুন দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। যদি সময়মতো ফায়ার সার্ভিস না আসত, তাহলে আমাদের বসতঘরেও আগুন লাগতে পারত।
তিনি আরও বলেন, তিন বছর ধরে আমার স্বামী অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় আছেন। যদি আগুন আমাদের ঘর পর্যন্ত পৌঁছাত, তাহলে তাঁকে সরানো অসম্ভব হতো। এখন আমরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি চাই, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক। আমার চারমাস বয়সী নাতি-নাতনিকে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলামা বলেন, রাত দেড়টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনের উৎস সম্পর্কে তদন্ত চলছে।
আটোয়ারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, ঘটনাটি জানার পর বোদা ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন দেয়। সে সময়ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
