নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে পৃথক তিনটি স্থানে তিনজন কৃষক নিহত হয়েছেন এবং একজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন—খালিয়াজুরী উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (২৫), কৃষ্টপুর গ্রামের রমজান মিয়ার ছেলে কবীর হোসেন (৪০) এবং হায়াতপুর গ্রামের রসিক সরকারের ছেলে রাখাল সরকার (৬০)। আহত হয়েছেন রসুলপুর গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে রনু মিয়া (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলাকালে হাওরে কাজ করার সময় এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন জানান, বিকাল ৫টার দিকে রসুলপুর গ্রামে কয়েকজন কৃষক ধনু নদীর পাড়ে হাওর থেকে কেটে আনা বোরো ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং তার পাশে থাকা রনু মিয়া গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অন্যদিকে, কৃষ্টপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম মোল্লা জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কবীর হোসেন বাড়ির সামনের হাওরে ধান কাটতে গেলে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
হায়াতপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ওমর চৌধুরী জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাখাল সরকার বৃষ্টির মধ্যে হাওর থেকে গরু আনতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের পরিবারকে দাফন-কাফনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিজনকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।