বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মিঠুন মাহমুদ, চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ০৯:৪২ এএম

banner

৭ কেজির পেঁয়াজু বিক্রি করে ভাইরাল মদিনুর

মিঠুন মাহমুদ, চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ০৯:৪২ এএম

৭ কেজির পেঁয়াজু বিক্রি করে ভাইরাল মদিনুর

পেঁয়াজু ভাজি করছে কিশোর মদিনুর রহমান, ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মুখরোচক খাবারের তালিকায় অন্যতম পেঁয়াজু। এবার ৭ কেজি ওজনের পেঁয়াজু ভেজে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে চুয়াডাঙ্গার কিশোর মদিনুর রহমান।

চুয়াডাঙ্গার দামড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামে কৃষক হায়দার আলীর ছেলে মদিনুর রহমান (১৫)। 

সংসারের কথা চিন্তা করে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে চাচার সঙ্গে পেঁয়াজু বিক্রি করে তিনি। একদিন হঠাৎ মাথায় আসল পেঁয়াজু বড় করে ভাজবে। যেই কথা সেই কাজ। প্রথমে শুরু হয় এক কেজি থেকে, এরপর থেকে শুরু করে ৭ কেজি ওজনের পেঁয়াজু তৈরি করে ভাজতে থাকে মদিনুর রহমান।

এই পেঁয়াজুতে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ এবং বেশন ব্যবহার করে মদিনুর । ফলে স্বাদে অতুলনীয় হয়। এই পেঁয়াজুর সুনাম ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে পরিবার কিংবা বন্ধু নিয়ে পেঁয়াজু খেতে চন্দ্রবাস গ্রামে ছুটে আসেন নানা পেশার মানুষ। ১ কেজি পেঁয়াজু ৩৫০ টাকা এবং ৭ কেজি পেঁয়াজু ২৪৫০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন ৭০-১০০ কেজি পেঁয়াজু বিক্রি করে মদিনুর।

নিজ গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি ছোট্ট জায়গা ভাড়া নিয়ে এই পেঁয়াজু তৈরি করে তিনি। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৮টা পযন্ত চলে এই পেঁয়াজু বিক্রি। এ সময় ভিড় জমে যায় দোকানে। মেহেরপুর, মুজিবনগর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার মানুষ বেশি আসেন।

মদিনুর রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকেই চাচার কাছে পেঁয়াজু ভাজা তৈরি শিখেছি। কষ্ট করে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি, এরপর আর পড়তে পারিনি। পরে এই পেঁয়াজুর ব্যবসা শুরু করেছি । এখানে আমার সঙ্গে আরও দুইজন কাজ করে । প্রতিদিন প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়। আমার পেঁয়াজুতে কোনো ভেজাল নেই।

মেহেরপুর জেলা থেকে পেঁয়াজু খেতে আসা হাসানুর রহমান বলেন, চন্দ্রবাস গ্রামে অনেক ভালো পেঁয়াজু পাওয়া যায়। তাই মাঝে মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে খেতে আসি। এই পেঁয়াজু  খেতে অনেক সুস্বাদু।

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গুড়দহ গ্রামের সোহেল হোসেন বলেন, ৭ কেজি ওজনের পেঁয়াজু কখনো দেখিনি, এ জন্য এখানে এসেছি। এত বড় পেঁয়াজু আমার মনে হয় বাংলাদেশের আর কোথাও তৈরি হয় না। খেতেও অনেক সুস্বাদু। বাজারে পেঁয়াজুর নামে পেপে কিংবা মুলা দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে এখানে পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছে, একদম ভেজালমুক্ত।

আরবি/এসআর

Link copied!