ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। সদর থানার ওসি এসএম আমানউল্লাহ আটকের খবর নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলা ছাত্রলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আল আমিন ওরফে তমাল (২২), সদর উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দিন আহাম্মদ পিয়াস (২২), ছাত্রলীগ নেতা মীর মারুফ, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুর রহমান (২৪), গড়পাড়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন (৫৪) ও ছাত্রলীগ নেতা খান মোহাম্মদ রাফি ওরফে সিজন (১৮)।
সদর থানার ওসি আমানউল্লাহ জানান, চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানবেন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সন্দেহজনকভাবে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের মধ্যে খান মোহাম্মদ রাফি ওরফে সিজন গতকাল রাতে অগ্নিসংযোগের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল ‘মিশন কমপ্লিট’। আশা করা যাচ্ছে, তার কাছ থেকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রজু হবে বলে জানান ওসি।
এদিকে ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জাহিদ মালেকের আপন ফুপাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং গড়পাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাহিদ মালেকের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত আফসার উদ্দিন সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং জাহিদ মালেকের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত সিফাত কোরাইশী সুমনের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় এক ধরনের আতংকে আছেন চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষসহ তার পরিবার।
মানবেন্দ্র ঘোষের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এলাকার চারপাশে জাহিদ মালেকের অনুসারীদের বসবাস। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর দুই ঘণ্টার মধ্যে তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরপর আর কিছু হবে না তার নিশ্চয়তা কী? আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমার পরিবার এবং আমাদের নিরাপত্তা চাই।