দুর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক বলেছেন, বিগত আমলে এ দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে। এ সময় দুদক দেখাশোনা, জানা ও প্রায়োগিক কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কিনা বলতে পারি না।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে দুই দিনব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক পরিচালক আরও বলেন, একজন ব্যক্তি ৯টি ব্যাংক কিনে নিয়ে গেল। সেই ব্যাংকের সকল টাকা বিদেশে পাচার হলো। দুদক তখন তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে কিনা জানা নাই। কারণ তখন আমরা দুদকে ছিলাম না। আজকে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা করতে হয়। দুর্নীতিবাজদের আমরা প্রশ্রয় না দিলে তারা এই সাহস পেতো না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সৈয়দ তাহসিনুল হক বলেন, আমাদের সময় স্কুলে কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হতো। হঠাৎ করে কেন দুর্নীতিবিরোধী দিবস করতে হবে, বিতর্ক প্রতিযোগিতা করতে হবে। সমাজে তো আর অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। সবতো আমাদের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের ধারায় সম্পাদিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটা মাদক ব্যবসায়ী শহরের মাঝখান দিয়ে মাদক নিয়ে যাবে। এটাও কি সম্ভব? একটা সরকারী কর্মকর্তা কাজ শেষে ৫০ পার্সেন্ট কমিশন নেবে এত সাহস কার। আমরা যদি সাহস না দেই। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করি, কি করে সে দুর্নীতিতে জড়াবে? আমাদের আত্মসমালোচনা করা দরকার।
এসময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় জেলার মোট ১৪টি স্কুল অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সরযূ বালা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।
আপনার মতামত লিখুন :