ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

শিবালয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে নীলাচল পরিবহনের বাস থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে শিবালয় থানা পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় পাটুরিয়া ঘাটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  ১৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার দাশকান্দী গ্রামের  মৃত কুদ্দুস খানের ছেলে জসিম খান (৪০), একই এলাকার মৃত মহর ছেলে সুরমা খান (৩৮) এবং সিরাজগঞ্জ জেলার হরিণা গ্রামের  মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে নুর আলম বাবু (৫৭)।

পুলিশ সূত্রে জানায়, নীলাচল পরিবহনের পাটুরিয়া-চট্টগ্রাম রুটের ইনচার্জ মো. মহিবুর রহমান সুমন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, রুটে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১১৫টি বাস চলাচল করে । দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তরা চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিটি বাস থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন জসিম। 

গত ৯ এপ্রিল থেকে পরিবহন কর্তৃপক্ষ চাঁদা দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে, অভিযুক্তরা ১৬ এপ্রিল পুনরায় জোরপূর্বক চাঁদা আদায় শুরু করে রোড ইনচার্জকে নানা হুমকি দেয় এবং বলে চাঁদা না দিলে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, অভিযুক্তরা প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ হাজার টাকা এবং মাসে প্রায় ৩ থেকে সোয় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে চাঁদা আদায় আসছেন এই চক্র।

স্থানীয়রা জানায়, গ্রেপ্তারকৃত জসিম খান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি এসএম জাহিদেরর ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন। পাটুরিয়াঘাটে পরিবহনে চাঁদাবাজি ও নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে বিআইডব্লিউটিয়ের জায়গা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন।

জসিম খান বিভিন্ন সময় হুমকী দিতো আমাদের। তার ভয়ে কোনো কিছু বলার সাহস পেত না। 

সরকার পতনের পরেও জসিম বহালতবিয়তে এসব সিন্ডিকেট চাঁদাবাজি পরিচালনা করতো। তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে নীলাচল পরিবহনের একজন ইনর্চাজ জসিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী এস আই সুমন চক্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে শিবালয় থানায় আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন এর ৪/৫ ধারায় রুজু করা হয়। আসামিদের বুধবার সন্ধ্যায় পাটুরিয়া ঘাটে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে-এর আগে থানায় চাঁদাবাজিসহ অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।