ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষানুরাগী নওয়াব সৈয়দ আলী চৌধুরীর ৯৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে ধনবাড়ী উপজেলার আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নুরুল ইসলাম পাঠান। সঞ্চালনায় ছিলেন
কলেজের সাবেক ইংরেজি বিভাগের প্রধান মনিরুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এম আজিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন গভর্নিং বডির সদস্য জাহিদুল ইসলাম মহব্বত,
সাকিনা মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
গোলাম রব্বানী, সরকারি ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশনের সহকারী
প্রধান শিক্ষক একেএম হারুন উর রশিদ এবং ধনবাড়ী নওয়াব মডেল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুল আলম।
বক্তারা বলেন, নওয়াব আলী চৌধুরী উপমহাদেশে শিক্ষার প্রসারে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
তিনি দীর্ঘ নয় বছর সরকারের ওপর
চাপ প্রয়োগ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ ত্বরান্বিত করেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
সাংবাদিকতায়ও তার অবদান রয়েছে। তিনি সাপ্তাহিক মিহির ও
সুধাকর পত্রিকার সম্পাদক ও মালিক ছিলেন।
ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘খান বাহাদুর’ (১৯০৬), ‘নওয়াব’ (১৯১১), ‘সিআইই’ (১৯১৮) এবং ‘নওয়াব বাহাদুর’ (১৯২৪) উপাধিতে ভূষিত করে।
১৯২৯ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি দার্জিলিংয়ের নিজ বাসভবন ‘ইডেন ক্যাসল’-এ ইন্তেকাল করেন।
পরে তার মরদেহ ধনবাড়ীতে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ হযরত মাওলানা মো. ইদ্রিস হোসাইন, পেশ ইমাম ও খতিব, নবাব শাহী জামে মসজিদ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সাকিনা মেমোরিয়াল গার্লস হাই
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম মিল্টন, বিভিন্ন
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা।