শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

তালতলীতে মাছের ঘের লুটের চেষ্টা, সংঘর্ষে আহত ২

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

তালতলীতে মাছের ঘের লুটের চেষ্টা, সংঘর্ষে আহত ২

হাসপাতালে আহত নুরুল ইসলাম। ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনার তালতলী উপজেলার লাউপাড়া গ্রামে জমির মালিকানা ও মাছের ঘের লুটপাট নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত পরিকল্পিত হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন দু’জন।

আহতদেরকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মরহুম আব্দুল জলিলের ছেলে নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন প্রায় ২০ একর জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই জমিতে জোরপূর্বক বাঁধ নির্মাণ করে ঘেরের মাছ লুটের চেষ্টা করেন স্থানীয় প্রভাবশালী সেন্টু খা, হানিফ মোল্লা, সোবাহান এবং মমিন গং।

সংবাদ পেয়ে নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তার আর্তচিৎকার শুনে পাশে থাকা পারভেজ ডিলার এগিয়ে এলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা।

রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর তাদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত পরিবারের দাবি করেছেন, এটি নিছক একটি বিরোধ নয়-২০২১ সালেও তাদের বাড়িতে একই চক্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে ঘেরের মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এবার হামলাটি ছিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ও হত্যার উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

স্থানীয়রা বলেন, “নুর ইসলাম শান্ত মানুষ। সে কারো জমি দখল করে না। বরং তার জমিতে বারবার হামলা করে এই প্রভাবশালী চক্রটি। প্রশাসনের উচিত এবার এই চক্রের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া।”

হামলার বিষয়ে আহত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তন্নী আক্তার বলেন, “আমরা শুধু আমার স্বামী ও আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তিটা চাই। বারবার হামলা, মামলা আর হাসপাতালে যেতে যেতে আমরা ক্লান্ত। এবার আমার স্বামীকে মাইরা ফালাইতেই চেয়েছিল এরা।

এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!