শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম

পোস্টার সাঁটিয়ে চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম

পোস্টার সাঁটিয়ে চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি

পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার পর এবার পোস্টার সাঁটিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক বেপারিকে। হুমকির পরপরই দুর্বৃত্তরা ইউনিয়ন পরিষদের বৈদ্যুতিক মিটারে কাপড় পেঁচিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০২৪ সালের ৭ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহতের ছোট ভাই ইমন হালদার বাদী হয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে, বাকি আসামিরা এখনও পলাতক।

চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হওয়ায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সিদ্দিক বেপারিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে কিছু মাসের মধ্যেই তিনি হত্যার হুমকি পান। সম্প্রতি পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তাঁর নামে হুমকিসংবলিত পোস্টার সাঁটানো হয়।

পোস্টারে লেখা ছিল, ‘মৃত্যুর দিন গুনতে থাক, মৃত্যু খুব কাছে তোর। এবার আমি তোরে গুলি করুম, ঠিক মাথায়। আইতাছি কিছুদিন পরে প্রস্তুতি নে মরার জন্য আপ্পু বেপারি।’

হুমকি পেয়ে আবু সিদ্দিক বেপারি টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বিষয়টি জানান। ইউএনওর পরামর্শে তিনি টঙ্গিবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারেনি।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা ইউনিয়ন পরিষদের বৈদ্যুতিক মিটারে কাপড় পেঁচিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধবার সকালে ইউপি সচিব ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখে ইউএনওকে অবহিত করেন। ইউএনও পরে সরেজমিন পরিদর্শন করে ইউনিয়ন পরিষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দেন।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক বেপারি বলেন, ‘আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পর পরিষদের বৈদ্যুতিক মিটারে আগুন লাগানো হয়। এতে মিটারের চারপাশ পুড়ে গেছে। ইউপি সচিব বিষয়টি দেখে আমাকে ও উপজেলা প্রশাসনকে জানান।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, ‌‘হুমকির ঘটনায় করা সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে। মিটারে আগুন দেওয়ার ঘটনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্তে নিবিড় মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।’

ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চেয়ারম্যান হত্যার পর থেকে পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরিষদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, টানা হুমকি ও নাশকতার ঘটনায় পরিষদের সচিব, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চরম উদ্বেগ ও আতঙ্কে রয়েছেন।

আরবি/একে

Link copied!