লক্ষ্মীপুরে এক অসহায় ব্যক্তিকে খাবার দেওয়ায় সরকারি কর্মচারী মো. বাবুল ও তার স্ত্রী রুবি আক্তারকে পিটিয়ে আহত করে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ সদস্যরা। একপর্যায়ে তাদের ছুরিকাঘাতে বাবুলের কপাল ও হাত-পায়ে রক্তাক্ত জখম হয়।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার উত্তর বাঞ্চানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাতেই ভুক্তভোগী রুবি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো- জুয়েল হোসেন, মো. শান্ত, মো. রাকিব ও মো. রাসেল। এরমধ্যে জুয়েল ও শান্ত উত্তর বাঞ্চানগর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে এবং রাকিব ও রাসেল একপি এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে। অজ্ঞাত আসামিরা তাদের বন্ধু।
আহত বাবুল লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (এমএলএসএস) অফিস সহকারী ও উত্তর বাঞ্চানগর ছেরাগ আলী জমাদার বাড়ির মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী বাবুল ও অভিযুক্ত জুয়েল-শান্ত প্রতিবেশী। জুয়েল-শান্ত তাদের বাবা ইসমাইলকে খাবার দেয় না। প্রায়ই তারা তাকে মারধর করে।
ইসমাইল প্রায়ই বাবুলের বাড়িতে গিয়ে খুটিনাটি কাজ করে দেয় এবং খাওয়া ধাওয়া করে। এতে বিভিন্ন সময় বাবুলকে শান্ত ও জুয়েল মারধরের হুমকি দেয়। এর জের ধরেই ঘটনার সময় বাবুল বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে গেলে পরিকল্পিতভাবে তারা হামলা চালায়। চিৎকার শুনে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে রুবিকেও তারা মারধর করে।
একপর্যায়ে তারা বাবুলের কপালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়।
রুবি আক্তার বলেন, অসহায় ইসমাইলকে মাঝে মধ্যে খাবার খাওয়ানোর কারণেই তার ছেলেদের নেতৃত্বে আমার স্বামীর ওপর হামলা করা হয়। হামলাকারীরা কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিতি। আশপাশের লোকজন ছুটে না আসলে তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলত।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।