খাগড়াছড়ির রামগড়ে তুচ্ছ ঘটনায় সালিশি বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবুল কালাম (৫০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৯ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে জমিতে গরু ঘাস খাওয়া নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। রাতে বিষয়টি নিয়ে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা কালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এতে ৯ জন আহত হন।
সবাইকে স্থানীয় রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে আবুল কালাম নামের একজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আবুল কালাম বৈঠকে সাক্ষী দিতে এসেছিলেন। তিনি তৈইচালার আসলাম মিয়ার সন্তান।
জানা গেছে, তৈইচালার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসনের গরু প্রতিবেশী মর্তুজা আলীর জমিতে ঘাস খেয়েছিল।
এই ঘটনায় দুই পরিবারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টা নিয়ে সামাজিক বৈঠকের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে গুরুতর আহত হন আবুল কালামসহ ৯ জন।
এদিকে ঘটনায় আহত গরুর মালিক সাদ্দামের ভাই মো. শাহিন আলম অভিযোগ করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাটি সমাধান হয়েছিল কিন্তু সালিশ সমাপ্তের পরপরই পরিকল্পিতভাবে রহিমুল্লাহর ইন্ধনে কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সালিশে সাক্ষী দিতে আসা আবুল কালামকে হত্যা করে।
রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আবুল কালামের মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে রামগড় থানায় নিয়ে এসেছি। ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা রুজু হলে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।