ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ জামায়াত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ০১:২২ পিএম
আহত বিএনপি নেতা আজাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির সাবেক উপজেলা সদস্য সচিব মো. আজাদ হোসেন সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কয়েক যুবক তার ওপর হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর ওপর অভিযোগ তুলেছে আজাদের পরিবার ও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

বিএনপি নেতা আজাদের ভাই ইসহাক বলেন, জুমার নামাজ পড়ে থানার পাশ দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় উল্লাপাড়া পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল করিম কোহিল, রামকান্তপুর গ্রামের  হাফিজ, আবু জাফরসহ ১০ থেকে ১২ জন আজাদকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে।

একই রকম অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহাব। এ ঘটনার পর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।

উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শাহজাহান আলী জানান, এ হামলায় তাদের কোনো কর্মী সম্পৃক্ত নয়।

পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল করিম কোহিল বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর  বিএনপি নেতা আজাদ ও তাঁর লোকজন অবৈধভাবে বাস টার্মিনালে অর্থ আদায় করে আসছিলেন। এবার পৌরসভার ডাকে প্রায় ২৮ লাখ টাকা দিয়ে আমরা বাস টার্মিনালের টোল আদায়ের ইজারা নিই। পহেলা বৈশাখ আমরা টোল আদায় শুরু করি।

কিন্তু আজাদ প্রায়ই দলবল নিয়ে এসে সন্ত্রাসী আচরণ করেন। টার্মিনালটি আমি, হাফিজ, আব্দুল মোমিনসহ ১০২ জন মিলে ইজারা নিয়েছি। শুক্রবার দুপুরে আমি টার্মিনালে যাইনি। আমার পার্টনারদের সঙ্গে তাদের গন্ডগোল হয়। মারধরের ঘটনায় আমি জড়িত নই। তাকে কারা পিটিয়েছে, তা জানি না।’

উল্লাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিয়ামুল হক জানান, আজাদের ওপর হামলায় জামায়াত কর্মীরা জড়িত বলে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা এলাকায় নেই। এ ঘটনায় কেউ থানায় মামলা দেয়নি।

উল্লাপাড়া থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, বিএনপির এই নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়েছে। ঘটনার মূল সন্দেহভাজন হাফিজ সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।