গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই ভাই-বোনকে ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে তাদের মা সালেহা বেগম কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে তিনি পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কেন বা কী কারণে হত্যা করেছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
নিহত মালিহা আক্তার ও আবদুল্লাহ বিন ওমরের বাবার নাম আবদুল বাতেন মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে আরিচপুর জামাইবাজার রুপবানের টেক এলাকার সেতু ভিলা নামের আটতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন।
ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাট থেকে দুই শিশু ও রক্তমাখা একটি বঁটি উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে এখন তদন্ত চলছে। আমরা জানার চেষ্টা করছি, কেন বা কী কারণে দুই সন্তানকে তাদের মা হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
পুলিশ জানিয়েছে, টঙ্গীর আরিচপুরের যে বাড়িতে ওই পরিবার ভাড়া থাকত, সেখানে আশপাশে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। এসব ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, ঘটনাটি যে সময়ে ঘটেছে, সেই সময়ের মধ্যে তাদের ঘরে বা ফ্ল্যাটে সালেহা বেগম ছাড়া আর কেউ যাতায়াত করেননি। এ ছাড়া ঘটনার পর সালেহা নিজেই পাশের বাড়ি থেকে তার দুই দেবরকে ডেকে নিয়ে আসেন। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্ধ্যায় তাকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় তার হাতে কাটা দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। একপর্যায়ে মধ্যরাতে সালেহা বেগম তার দুই সন্তানকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।
সালেহার মা শিল্পি বেগম জানান, সালেহা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। আব্দুল্লাহর জন্ম হওয়ার পর থেকে তার এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। মাথায় সমস্যা হলেই সালেহা একা একাই স্বামীর বাড়ি থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতেন। তবে তিনি কখনো অস্বাভাবিক আচরণ করেননি।
এদিকে, পুলিশ জানায়, মাইগ্রেনের সমস্যা ছাড়া সালেহার আর কোনো সমস্যা আছে কি না, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে আরও পরিষ্কার হওয়া যাবে। পুলিশ এখন তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :